সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেখতে কক্সবাজারে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড়

প্রকাশনার সময়: ২৬ মে ২০২৪, ১৫:৪০

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ইতোমধ্যে কক্সবাজার সৈকত ও উপকূলে পানির উচ্চতা বেড়েছে। সাগর উত্তাল ঢেউ উপচে পড়ছে তীরে রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সৈকতের সব সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের এ তীব্রতা দেখতে সৈকতের তীরে ভিড় জমিয়েছে কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। বেলাভূমির লাবণী, সী-গাল, সুগন্ধা, ওশান বিচ ও কলাতলী পয়েন্টে শত শত পর্যটক আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে উপচে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি গড়তে গোসলে নামছে। তাদের ওপরে নিরাপদ স্থানে উঠে আসতে তাগাদা দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও সৈকতে কাজ করা লাইফগার্ড কর্মীরা।

জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। পর্যটকদের অনুরোধ করেও সরানো যাচ্ছে না।

ঢাকার মালিবাগ থেকে দুই দিন আগে বেড়াতে এসেছে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের পরিবার। আজ রোববার (২৬ মে) সকালে ফেরার কথা থাকলেও কক্সবাজারে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন। রোববার দুপুর ১২টায় শহরের লাবণী পয়েন্টে সপরিবারে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, কোনো সময় ঝড়ের তীব্রতা দেখার সুযোগ হয়নি। এ প্রথম সুযোগ হলো। বাচ্চারা বেশ উপভোগ করছে।

তার মতো অনেকেই ঝড়ের তীব্রতা ও বিক্ষুব্ধ সাগর দেখতে সাগরতীরে ভিড় করছে। সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের লোকজনও ভিড় করতে দেখা যায়। অনেককেই ঝড় নিয়ে টিকটক ও কনটেন্ট বানাতে দেখা গেছে। কাউকে কাউকে বালিয়াড়ির ভাঙন রোধে বসানো জিওব্যাগে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর দেখতে দেখা যায়।

শনিবার (২৫ মে) বিকালের পর থেকে কক্সবাজারে রিমালের প্রভাব শুরু হয়েছে। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া বইছে। তবে কোথাও ঝোড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু জায়গায় উপকূলের বাসিন্দারা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

এদিকে, রিমালের প্রভাবে কক্সবাজার থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চালু করা হবে।’

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ