ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫২

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেড়েছে পর্যটকদের আগমন। দিনটিকে উপভোগ করতে শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় মানুষের সাথে অনেকেই এসেছেন সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে। কেউ গা ভাসাচ্ছেন সমূদ্রের নোনা জলে। কেউ আবার ভালোবাসার মানুষকে পরিয়ে দিচ্ছেন ঝিনুক মালা। গ্রহণ করছেন ইলিশ মাছের স্বাদ। লেম্বুর চর, বৌদ্ধ বিহার ও শুঁটকি পল্লী ঘুরে অনেকেই চেষ্টা করছেন জীবনের ক্লান্তিকে একটু ভুলে থাকতে।

পর্যটকদের বরণ করতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ প্রায় সকল হোটেল-মোটেলগুলো ঢেলে সাজানো হয়েছে। রেস্তোরাঁগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি খাবার। তবে আবাসিক হোটেলগুলোতে রুম পাওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য হওয়ায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উন্নত মানের পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ।

খুলনা থেকে আসা নব দম্পতি হাসান ও শিরিন জানান, তারা দুজনে এর আগেও কুয়াকাটায় এসেছেন আলাদাভাবে। তাই এবার ভালোবাসা দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে দুজনে সমুদ্র দেখতে এসেছেন কুয়াকাটায়। এর আগে যখন এসেছিলেন তখন বেশ কয়েকটা ফেরি থাকায় তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমানে সবকটি নদীতে সেতু নির্মাণ হওয়ায় কুয়াকাটায় আসা এখন বেশ আনন্দদায়ক। তিনদিন ধরে কুয়াকাটার বিভিন্ন স্থান চষে বেড়িয়েছেন তারা।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী থেকে সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা হৃদয় হাসান নয়া শতাব্দীকে বলেন, ভালোবাসা মানে যার কোনো নির্দিষ্ট ভাষা, ধর্ম বা বর্ণ হয় না। ভালোবাসার অনেকেই অনেক রকম সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন। তবে সেগুলো সঠিক হতে পারে বা ভুল হতে পারে। কারণ ভালোবাসা সমুদ্রের মতো বিশাল। সমুদ্র যেমন দু’হাত বাড়িয়ে যে কাউকে নিজের বুকে জড়িয়ে নেয়, ভালবাসাও তেমনি। ভালোর বিপরীতে খারাপ থাকতে পারে, মঙ্গলের বিপরীতে অমঙ্গল থাকতে পারে। তবে ভালোবাসার বিপরীতে কখনোই ঘৃণা থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ভালোবাসা দিবসে একাই কুয়াকাটাতে এসেছি। আর এই প্রথম আমার কুয়াকাটাতে আসা। আমি মনে করি, সমুদ্রকে ভালোবাসলে সমুদ্র তার বিশালতায় সবাইকে স্থান দেয়।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে পারে এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আমাদের সাথে স্থানীয় থানা পুলিশ সহায়তা করছে। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।

সমুদ্রে জোয়ার-ভাটায় যাতে কারো কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিষয় নিয়ে আমরা টহল ও মাংইকি সবসময় চালিয়ে যাচ্ছি বলেও তিনি জানান।

নয়াশতাব্দী/টিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ