ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শেষ মুহূর্তে গাউছিয়া মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশনার সময়: ৩০ মার্চ ২০২৪, ২০:২৩

পবিত্র ঈদুর ফিতরকে সামনে রেখে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত গাউছিয়া মার্কেটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। রোজার শুরু থেকে যাকাতের কাপড়ের জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর দোকানে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের পদচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে এই বাজার। তবে বর্তমানে দেশে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকার কারণে কাপড়ের দাম কিছু বেশি বলে দাবি ক্রেতা ব্যবসায়ীদের। তারপরও এবারের ঈদে আশানুরূপ বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশের সব চেয়ে বড় পাইকারি কাপড়ের বাজার গাউছিয়া মার্কেট অবস্থিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। এ মার্কেটে রয়েছে প্রায় ৭ হাজার ছোট বড় দোকান। বেশিরভাগ দোকানগুলোতে পাইকারিভাবে বিক্রি হয় থ্রি-পিছ, কাপড়, লুঙ্গি, শাড়ি, শার্ট, প্যান্টসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের কাপড়। সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট বসে এ মার্কেটে। আর বাকি দিনগুলোতে বেশিরভাগ দোকানে খুচরাভাবে বেচাকেনা চললেও পাইকারি দোকানগুলো হাটের দিন ছাড়া তেমন খোলা হয় না। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রোজার শুরু থেকে সবগুলো দোকানেই প্রতিদিন চলছে বেচাকেনা। বেচাকেনায় যাকাতের কাপড় যুক্ত থাকায় বিক্রি হচ্ছে আশানুরুপ।

মার্কেটে রাজধানী শহর ঢাকা ছাড়াও নরসিংদী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট, টাঙ্গাইল, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসেন পাইকারিভাবে কাপড় কিনতে। রোজা শুরু থেকেই খুচরা দোকানগুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। তবে এবার দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে কাপড়ের দাম খানিকটা বেশি। প্রতি থ্রি-পিছ ও শাড়িতে বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। একারণে নিম্ন আয়ের লোকজনের জন্য কেনাকাটা করতে এসে হিমশিম থেকে হচ্ছে। কাপড়ের দাম বাড়তি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারপরও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ ও বিত্তবান লোকজন এসে তাদের পরিবার পরিজন ও যাকাতের জন্য বিভিন্ন দামের শাড়ি কাপড়, লুঙ্গী, থ্রি-পিছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদে মার্কেটের সামনে অন্যান্য বছরে মতো ফুটপাত না থাকায় বেচাকেনা আগের বছরগুলো থেকে বেশি হবে বলে তারা আশাবাদী। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের লোকজন কেনাকাটা করতে অনেকটা হিশশিম খাচ্ছে বলে দাবি দোকানদারদের।

গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতি সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, রোজার শুরু থেকে মার্কেটে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। সামনের সময়গুলোতে বেচাকেনা আরো ভাল হবে। মার্কেটে যেন চুরি, ছিনতাইসহ কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য মার্কেটের পক্ষ থেকে একশোর অধিক নিরাত্তাকর্মী সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, ঈদে দূর-দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা সাধারণ যেন নির্বিঘ্নে এ মার্কেটে কেনাকাটা করতে পারে। তাদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পুলিশের টহলটিম সার্বক্ষণিক মার্কেটে কাজ করছে। মার্কেটে এসে যেন কেউ চুরি ও ছিনতাইয়ের কবলে না পরে সেক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ