ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

সেই প্রতিবন্ধী হাবীবের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও জুয়েল আহমেদ

প্রকাশনার সময়: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:০২

জীবন যুদ্ধে হার না মেনে দুই হাত ও পায়ের হাঁটুর উপর ভর দিয়ে চলাচল করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সেই শারীরিক প্রতিবন্ধী আহসান হাবীবের পাশে দাঁড়ালেন ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ।

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নামাপাড়া গ্রামের আদর্শ বাজারে আহসান হাবীবের ওষুধের দোকানে হাজির হয়ে হুইল চেয়ার প্রদান করেন তিনি। পরে তার শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থার বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন।

আহসান হাবীব ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিনের ছেলে ।

গত ২০ মার্চ নয়া শতাব্দীতে 'জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী আহসান হাবীবের গল্প' এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দীর্ঘ কষ্টের ইতি টেনে চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার পেলেন তিনি। তার চলাচল ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি নজরে এনে প্রতিবন্ধী আহসান হাবীবকে হুইল চেয়ার প্রদান করেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ, ত্রিশাল প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল আলম তুহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান সুমন প্রমুখ।

হুইল চেয়ার পেয়ে আহসান হাবীব নয়া শতাব্দীকে বলেন, 'আমি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ। চেষ্টা করি ব্যবসা করে চলতে। এই ব্যবসা দিয়ে সংসার চালানো অসম্ভই প্রায়, তবু কষ্ট করে চলি। আমার এ কষ্টের কথা জেনে ইউএনও স্যার আমাকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছেন। এটা পেয়ে আমার অনেক আনন্দ, খুশি লাগতাছে। আমি এখন সারাদিন ফুর্তিতে দোকানদারি করবাম। ইউএনও স্যার ও স্যারের পরিবারের জন্য আমি সবসময় দোয়া করবো।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ নয়া শতাব্দীকে বলেন, আহসান হাবীব যেন চলাচল করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়েছে। সে যে ঘরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে তা একেবারেই ভাঙাচোরা। তার ব্যবসা যেন ভালোভাবে চালাতে পারে সেজন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলেছি ঘরটা যেন ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সে যেন বিনা সুদে ঋণ পায় এবং সরকারি কোনো আর্থিক সহায়তা করার সুযোগ থাকে তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে তা দেওয়া হবে।'

উল্লেখ্য, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন আহসান হাবীব (৩৫)। আহসান হাবীবের দুই হাত ও দুই পা বিকলাঙ্গ (প্রতিবন্ধী)। প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও কারও কাছে হাত বাড়ান না তিনি। কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার প্রত্যয়ে বেছে নেন কর্ম। অন্যের উপর বোঝা নয়, নিজ কর্মে আয় উপার্জন করে বেঁচে থাকতে চায় আহসান হাবীব। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দৈনিক নয়া শতাব্দীতে “জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী আহসান হাবীবের জীবন সংগ্রামের গল্প” শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ