ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জিলকদ ১৪৪৫

মসজিদ উন্নয়নের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩০ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩২

নওগাঁর ঘোলাদিঘী মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো তোয়াক্কা করছে না। আর এর মধ্যদিয়ে মসজিদের দ্বিতল ভবনের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

সচেতন সমাজ ও মুসল্লিরা অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সরজমিনে এসে অনিয়ম পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালেদুল ইসলাম।

জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলা ঘোলাদিঘী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলা উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের ‘গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রায় ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটির টেন্ডার পান নওগাঁর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজ’। কাজটি সম্পন্ন করার জন্য পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজের কাছে থেকে সাব-টেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করেন নজিপুরের ঠিকাদার মোশারফ হোসেন।

তবে এ কাজে নিম্নমানের বালি এবং সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়াসহ অন্যান্য কাজের মান নিয়ে স্থানীয়রা নানা অনিয়মের অভিযোগ করে জানায়, শিডিউল মেনে কাজ করা হচ্ছে না। মুসল্লিদের পক্ষ থেকে কাজের শিডিউল দেখতে চাইলে, শিডিউল না দেখিয়েই ঠিকাদার বলছে শিডিউল মেনেই কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে সচেতন সমাজ ও মুসল্লিরা অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানালে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালেদুল ইসলাম কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

ঘোলাদিঘী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা জেনেছি এই মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের বালি দিয়ে, নামমাত্র সিমেন্ট মিশিয়ে এবং শিডিউল না মেনেই কাজ করে আসছিলো। মসজিদের সচেতন মুসল্লিরা বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে জানালে তিনি এসে অনিয়ম পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

ঘোলাদিঘী জামে মসজিদের ইমাম জাইদুল ইসলাম বলেন, সকালে মুসল্লিরা মসজিদ উন্নয়ন কাজ দেখতে গিয়ে কাজের মধ্যে অনেক অনিয়ম দেখতে পান। বিষয়টি স্থানীয় মুসল্লিরা উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে জানালে, তিনি এসে অনিয়ম পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার মোশারফ হোসেন বলেন, কাজ করতে গিয়ে মিস্ত্রীরা ভুল করতে পারে, মিস্ত্রীদের ভুলগুলো আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই সেটির সমাধান করে কাজ করবো। ঠিকাদার মোশারফের কাছে কাজের শিডিউল দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিডিউল বা কাজের কোনো তথ্য দিতে পারবো না। শিডিউল বা কোনো তথ্য নিতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে নিতে পারেন।

উপজেলা এলজিইডির দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালেদুল ইসলাম বলেন, ঘোলাদিঘী মসজিদের দ্বিতীয় তলার অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে পেয়ে কাজ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ