কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাষি মো. আনাম মিয়া। তার সফলতা দেখে আগামীতে এই রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার অনেক চাষিরা।

উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের জগদল ব্লকের প্রান্তিক চাষি মো. আনাম মিয়া। উপজেলার কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করেন তিনি। এসব ফুলকপি বেশি দামে বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিলচাতল গ্রামের কৃষক মো. আনাম মিয়া ১৫-২০ শতাংশ জমিতে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেন। রঙিন হওয়ায় বাজারে নেওয়ার সাথে সাথেই ক্রেতারা বেশি দামে এসব ফুলকপি কিনে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশে ‘রঙিন’ ফুলকপির চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। জামালপুরের এক একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে মাটি ছাড়াই কোকোফিডের মধ্যে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। তারা ভারত থেকে কিছু রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছিল পরীক্ষামূলক চাষের জন্য। সেখানে রবি মৌসুমে হাজার দুয়েক চারা উৎপাদন করা হয়।

আনাম মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি এসব ফুলকপি চাষ করেছেন। নতুন জাত ও ভালো দাম পাওয়ায় তিনি লাভবান হচ্ছেন। প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করবেন।

উপজেলার জগদল গ্রামের চাষি মোস্তফা ও কিরণ সহ অনেকেই বলেন, আমরা কখনো এই রঙিন ফুলকপি দেখিনি। আনাম মিয়ার এই ফুলকপি বাজার অনেক দামে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। আমরাও আগামীতে এই ফুলকপি চাষ করব।

জগদল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মুদাসিল হায়দার আলমগীর জানান, প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে ফলন ও বাজার মূল্য দেখে ভালো লাগছে এবং অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে। রঙিন ফুলকপির চাষ অন্যান্য কপির মতো হওয়ায় বাড়তি কোনো খরচ লাগে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম শাহজাহান কবির জানান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো চাষে কৃষক আনাম মিয়া সফল হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর