ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চবি উপাচার্য নিজের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন ৫০ শতাংশ; সাধারণ শিক্ষকদের ৫ শতাংশ

প্রকাশনার সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।’

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। কেননা সাধারণ শিক্ষকরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগ-বাটোয়ারার হিসেব তো অনেক দূরের বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বলছে ভর্তি পরীক্ষার যে আয়, এর চেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানি দেওয়া সেটা আমরা নিবো না, কিন্তু আয়- ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দিবো। কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।’

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য, শিক্ষক এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সঠিক নয় দাবি করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরে চারুকলা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতি। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকদের সম্মানী নির্ধারণ ও আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করার দাবি জানানো হয়।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ