ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রঙিন ফুলকপি চাষে শফিকুলের বাজিমাত

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২

প্রথমবারের মতো পাবনার ঈশ্বরদীতে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। হলুদ ও বেগুনি এই দুই জাতের রঙিন ফুল কপি চাষ করেছেন তিনি। প্রতিদিনই তার বাগানের ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শফিকুল।

শফিকুল জানান, সাদা জাতের ফুলকপির চেয়ে এই কপি চাষে তুলনামূলক অনেক কম পরিচর্যা করতে হয়। অন্যদিকে রোগবালাই তেমন নেই বললেই চলে। সাদা কপিতে আবার পানি সেচ একটু বেশি হলে পচন ধরে যায়। কিন্তু হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুল কপি চাষে এসব অসুবিধা নেই। সাদা ফুলকপি বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রির জন্য বসে থাকতে হয়। তবে কিন্তু এই কপি বাজারে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। দামও পাওয়া যায় ভালো। ইচ্ছে আছে আগামীতে আরও বেশি করে এই কপি চাষ করার।

উপজেলার চরমিরকামারী মাথালপাড়া রঙিন ফুলকপি দেখতে ও কিনতে আসেন একই গ্রামের আবেদ, মাসুম এবং আরিফ।

তারা বলেন, প্রথমবার এমন বাহারি রঙের ফুলকপি দেখলাম। শফিকুল ভাইয়ের কাছ থেকে হলুদ ও বেগুনি র‘য়ের ফুলকপি কিনলাম। দেখতেও বেশ ভালো লাগছে, খেয়েছি খুবই সুস্বাদু। শফিকুল ভাই এটা আবাদ করে লাভবান হয়েছে। আগামী বছর আমরাও এই রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সব ধরনের রঙিন শাক সবজিতে সাদাগুলোর তুলনায় ভিটামিন বেশি থাকে। ফলে এখন সাদা ও সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি এই ধরনের রঙিন সবজি চাষ বাড়ছে। এই কপি ভিটামিন সি ও কে সমৃদ্ধ। এই কপিতে চর্বি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এই কপি ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এই কপি চাষে কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে এই কপি চাষ বৃদ্ধি পায়। এই ফুলকপি চাষে একদিকে যেমন মানুষের মানবদেহের বাড়তি পুষ্টির চাহিদা মিটবে, অন্যদিকে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হবে।

শফিকুল জানান, প্রতি বছর সাদা ফুলকপি চাষ করলেও এবার ১০ কাঠা জমিতে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপির চাষ করেছি। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন (এনজিও) এর সদস্য হওয়ায় এই রঙিন ফুলকপির বীজ পাঁচ হাজার টাকায় ১০ গ্রাম দেন কর্তৃপক্ষ। প্রথমে মনে করেছিলাম হয়তো এই আবাদে লাভ আসবে না। কিন্তু যখন খেতে এই রঙিন কপি ভরে যায় তখন লাভের আসায় মনটা ভরে যায়। বর্তমান বাজারে অন্য কপির চেয়ে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপির চাহিদা বেশি, প্রতি পিস বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১০ কাঠা জমি থেকে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে আশা করি।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। রঙিন ফুলকপি খুব কম পরিমাণ চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ফুলকপি চাষে কৃষকদের আমি তো তেমন সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি নাই, শুধু টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট আমার এসও সাহেবরা যা দিতে পারছে সেটুকই। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সাপোর্ট আমি দিতে পারি নাই। আমার যে সকল প্রদশনী ছিল তা আমি আমার প্রকল্প থেকে যে সাপোর্টা সেটা পুরোপুরিই দিয়েছি। ফুলকপির প্রদশর্নী কয়েকটি ছিল।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ