মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের আতঙ্কে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকার পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ শ্রেণি কার্যক্রম চালু হয়েছে। এরআগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) অর্ধবেলা বন্ধ রাখা হয় শ্রেণি কার্যক্রম।
শ্রেণি কার্যক্রম চালু হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়গুলোতে আসা যাওয়া করছে।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গ্রুপের সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর চলমান যুদ্ধের কারণে এপারের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মিয়ানমারের চলমান এই যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও
বিস্ফোরক। যার ফলে বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের
সীমান্ত এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে আবার কখনো একনাগাড়ে সীমান্তের ওপারে শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির বিকট শব্দ। তুমব্রু এলাকার শূন্য রেখার পাশ্ববর্তী বাইশফাঁড়ি, চাকমা পাড়া, উত্তর পাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।এদিকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে বলে নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক জানান, নিরাপত্তার কারণে ২৯ জানুয়ারি অর্ধবেলার পর ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করা হলে ও আজ ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল থেকে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ