ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

দুই ইংলিশের ব্যাটিং তাণ্ডবে কুমিল্লার বিশাল স্কোর

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৩
বোলিংয়ে কঠিন পরীক্ষা দেওয়া স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় পেসার আল-আমিন হোসাইনকে। ছবি- ক্রিকইনফো

ঢাকায় দুই পর্ব এবং সিলেটের পর্ব শেষে, বিপিএল পা রেখেছে চট্টগ্রামে। আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ২৯তম ম্যাচে স্বাগতিক দলের মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এদিন দুপুরে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম। তবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

ব্যাট হাতে এদিন স্বরূপে ফিরে ঝড় তোলেন দলটির অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ব্যক্তিগত ফিফটি পাওয়ার পাশাপাশি উইল জ্যাকসকে নিয়ে গড়েন ৪৭ বলে ৮৬ রানের দুরন্ত এক জুটি। তবে এরপরই কুমিল্লা শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চট্টগ্রাম।

অষ্টম ওভারে শহিদুলের বলে লিটন ক্যাচ দিয়ে ফেরার ৬ বল বাদেই সৈকত আলীর শিকার হয়ে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন শূন্যতেই বিদায় নিলেও, শেষ দশ ইনিংসে একটাও ফিফটি না পাওয়া লিটন আউট হন ৬০ রান করে।

মাত্র ২৬ বলে ফিফটি ছোঁয়া কুমিল্লা ক্যাপ্টেনের ৩১ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ছিলো ৯টি দারুণ চারের সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ৩টি ছয়ের মার।

এদিকে দলীয় ৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ১১১ রানের মাথায় ব্রুক গেস্টকেও (১০) হারায় কুমিল্লা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে দলের রানের গতি সচল রাখেন উইল জ্যাকস।

সৈকত আলীকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ বলে ফিফটি পাওয়া এই ইংলিশ ব্যাটার, চতুর্থ উইকেটে স্বদেশী মঈন আলীকে নিয়ে গড়েন ৫৩ বলে ১২৮ রানের দুর্দান্ত জুটি। যেখানে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি হাঁকানো মঈনের অবদান ৫৩ রান। দুবার জীবন পাওয়া এই বাঁহাতির ২৪ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছয়ের মার।

অন্যপ্রান্তেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে উইল জ্যাকস মাত্র ৫৩ বলে খেলেন ১০৮ রানের টর্ণেডো ইনিংস। এর আগে শহিদুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ঠিক ৫০ বলে শতক পূরণ করেন এই মারকুটে।

এ দুই ইংলিশের দুর্দান্ত উইলোবাজিতেই আরেকটি দুইশ ছাড়ানো ইনিংস দেখলো দশম বিপিএল। অন্যদিকে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে কুমিল্লা।

এদিন বোলিংয়ে কঠিন পরীক্ষা দেওয়া স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় পেসার আল-আমিন হোসাইনকে। দু-দুবার সুযোগ তৈরী করেও উইকেটবঞ্চিত এই দুর্ভাগা এদিন ৪ ওভারে দেন সর্বোচ্চ ৬৯ রান।

কম যাননি অন্যরাও, তবে এর মাঝেও ৪৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নিতে পারেন পেসার শহিদুল ইসলাম। বাকি উইকেটটি যায় সৈকত আলীর ঝুলিতে।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ