ওয়ানডের পর এবার টেস্ট ক্যারিয়ারেরও ইতি টানলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তিতূল্য ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। শনিবার (৬ জানুয়ারি) পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্ট ইনিংসটা খেলে ফেলেছেন তিনি। ৫৭ রানের ওই ইনিংসের মাধ্যমে সমাপ্তি টেনে দেয়া ওয়ার্নার ক্যারিয়ারে চোখ বুলিয়ে খুশি। তার ধারণা, খেলা দিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়ের পর ধারাভাষ্যকার ওয়ার্নারকে প্রশ্ন করেন, কীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মনে হয়? জবাবে অজি ওপেনার বলেন, ‘উত্তেজনা, বিনোদন দিয়েছি (সেই হিসেবে)। আমার মনে হয়, যেভাবে খেলেছি, সবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি।’
আসলেই ওয়ার্নার সদাই হাস্যোজ্জ্বল, সেটা হোক ক্রিকেট মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে। বিষয়টা হয়তো নির্দ্বিধায় মেনে নেবেন প্রত্যেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে যেভাবে বিনোদিত করেন, তেমনি মাঠের ওয়ার্নারও আমুদে।
আমোদ আর মারকাটারি শটের নান্দনিকতায় ওয়ার্নার হয়তো ‘হাসি ফোটানো’র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বোধক উত্তরই তৈরি করেছেন গত এক দশক ধরে। বাঁ-হাতি এই ওপেনার টেস্টে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১১২ ম্যাচে ৮ হাজার ৭৮৬ রান করেছেন তিনি। তাতে ৪৪.৫৯ গড়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ২৬টি, আর ফিফটি ৬৭টি।
শেষ টেস্ট খেলার পর ওয়ার্নার ধন্যবাদ দিয়েছেন নিজের বাবা-মাকেও। তিনি বলেন, ‘পরিবার আমার জীবনে অনেক বড় একটা অংশ। তাদের সমর্থন ছাড়া হয়তো যা হয়েছে, তা হতো না। সব ক্রেডিট আমার মা-বাবার। তারা আমাকে ভালোভাবে বড় করেছেন।’
সেইসঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও হয়তো তাকে অর্থাৎ তার খেলার স্টাইল, ব্যাটিং স্টাইল পছন্দ করবেন বলেও মনে করেন এই তারকা। ওয়ার্নার আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি তরুণরা আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবে। সেটা হোক সাদা বলের ক্রিকেট কিংবা লাল বলের। এটা আমাদের খেলাধুলার উচ্চতর জায়গা। তাই লাল বলের ক্রিকেট খেলতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, কারণ এটাও যথেস্ট বিনোদনমূলক।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ