ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে

প্রকাশনার সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৮ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৭

দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা সবার। দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। গ্রামাঞ্চলে বড় গাছের ছায়ায় শীতল হাওয়ার পরশ পাওয়া গেলেও শহরে তা পাওয়া দুষ্কর। ক্রমাগত গাছ কেটে দালান তৈরি করা হয় শহরে। এতে শহরে গরম যেন আরও বেশি। এই গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলারের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে সবারই এসি ব্যবহার করার সার্মথ্য নেই। তাই গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে বিকল্প উপায় ব্যবহার করতে হবে।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা করার উপায়-

চুলা বন্ধ রাখা: চুলার গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেওয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসকল যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

ছাউনি ব্যবহার: ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।

অব্যবহৃত ঘরের দরজা বন্ধ রাখা: বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন কোনো ঘর বন্ধ করে রাখা উচিত। এতে ঘরের জায়গার আয়তন কমবে এবং ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।

দরজা এবং জানালার চারপাশে ফাঁকা বন্ধ করা: দরজা বা জানালায় কোনো রকম ফাঁকা থাকলে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে শীতে ঘর গরম থাকবে এবং গরম কালে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

রোদের তাপ, বায়ুর সঠিক চলাচলের অভাব ইত্যাদি নানান কারণে ঘর গরম হয়ে যেতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে এয়ার কন্ডিশনার একমাত্র সমাধান নয়, এছাড়াও রয়েছে নানান সহজ কৌশল।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালা পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালা পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার জন্য রাখা একটি ফ্যান দ্রুত শীতল হতে সাহায্য করবে এবং বাড়ির বিপরীত দিকের জানালা খোলার ফলে আড়াআড়ি বায়ু প্রবাহ তৈরি হবে যা ঘরকে দ্রুত ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাব্রেটরি (এনআরডিসি)’র তথ্যানুসারে, বাতাস আসার জন্য ছোট জানালা এবং গরম বাতাস বের করে দেওয়ার জন্য বড় জানালা ব্যবহার করা উচিত, এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়।

গরম বাতাস বের করে দেওয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখা ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস: ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

সিলিং ফ্যান: ঘরের তাপমাত্রা কমানোর ভালো উপায় হল সিলিং ফ্যান ব্যবহার। এটা ঘরের তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি কমাতে পারে ও এয়ারকন্ডিশনারের চেয়ে ১০ শতাংশ শক্তি কম অপচয় হয় বলে জানায়, এনআরডিসি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ