ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোট। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক বিবৃতিতে দেশটির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনে অধিকারকর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। সেই সঙ্গে অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সহিংসতা ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও দেখা গেছে।

ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং ইলহান ওমরের মতো মার্কিন আইনপ্রণেতারা পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। রো খান্না বলেছেন, সামরিক বাহিনী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করেছে।

এদিকে বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। সেই সঙ্গে সমাবেশের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ঘাটতি দেখা গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইইউ।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তির অভাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মধ্যে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের বেশির ভাগই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। এরপর নওয়াজের পিএমএল-এন ৭১টি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি এবং এমকিউএম ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছে। যদিও কেউই এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী কিংবা দলকে অভিনন্দন জানায়নি।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ