ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থ হাতে পেলেও দৃশ্যমান হয়নি প্রকল্পের কাজ

প্রকাশনার সময়: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৩

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ৫ মাস আগে ইউএনও অফিস সেই অর্থ হাতে পেলেও অদৃশ্য কারণে দৃশ্যমান হয়নি এসব প্রকল্প। প্রকল্পগুলোর দু-একটির আংশিক কাজ হলেও দীর্ঘদিন পরেও বাকি প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি।

উপজেলা চত্বরে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে গৃহীত এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে অনেক আগেই। কাগজে-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে কমিটি থাকলেও, এসব প্রকল্পের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বাস্তবায়ন কমিটি। কাজ না করেই সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে ৫ মাস আগে বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করেছে উপজেলা পিআইও অফিস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিআর (টেস্ট রিলিফ) কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা চত্বরে শিশু পার্কের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ ১ লাখ টাকা এবং উপজেলা পরিষদের সাধারণ বরাদ্দ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংস্কার বাবদ ৬০ হাজার, শহীদ মিনার সংস্কার বাবদ ৮০ হাজার, গাড়ি পার্কিং উন্নয়ন বাবদ ২ লাখ, পুকুরের প্যালা সাইড নির্মাণে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার শেড নির্মাণে বরাদ্দ ১ লাখ টাকা।

কাজের শুরুতে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ছবি জমা দিয়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে, উপজেলা চত্বরে গৃহীত এসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি নিদের্শনা মানা হচ্ছে না।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির একাধিক সভাপতির সাথে কথা বলে জানা যায়, সভাপতিদের অধিকাংশই এসব প্রকল্পের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পিআইও অফিস থেকেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে, প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করতে তাদের ডেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। উত্তোলনকৃত অর্থ কে, কিভাবে ব্যয় করছে; সে বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই।

উপজেলা চত্বরে শিশু পার্কের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং বাগাতিপাড়া সদর ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, অফিস থেকে বলে এটা এমপির কাজ বা ইউএনও’র কাজ। বাধ্য হয়েই তাদের কথা মত চলতে হয় আমাদের। প্রকল্পের সভাপতি হলেও এ প্রকল্প কোথায়, কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে; তা জানেন না তিনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুমিনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই মোটামুটি সব কাজ শেষ করা হবে।

বরাদ্দের সম্পূর্ন টাকা উত্তোলনের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও কাজ শেষ করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে, বিভিন্ন ব্যস্ততা ও রমজান মাসে মিস্ত্রি না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেননি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ