অস্ত্রসমর্পণ করে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

রোববার (৭ এপ্রিল) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্যশৈহ্লা ও সদস্য সচিব লালজার বম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কেএনএফের দাবি অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এই পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার মোট ৯৬৮টি বম পরিবারের মাঝে ১৩৪ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ তাদের কারান্তরীণ ২ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অবশিষ্ট কারান্তরীণ সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বম জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য এলাকায় খাদ্যশস্য ইতোমধ্যে পৌঁছানো হয়েছে। তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তবুও কেএনএফ সদস্যরা গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে গত ৪ এপ্রিল উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিসহ আপামর জনগণ এই উদ্ভূদ পরিস্থিতি কোনোভাবে কামনা করছে না। এমন অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার এবং সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফের সকল সদস্য শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্রসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

নয়া শতাব্দী/এসএ