প্রতিবছর দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এ মাঠে যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন সে দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠকে ঠেলে সাজিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার), র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবিরসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে র্যাব-১৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এক প্রেস বিফিংয়ে বলেন, ‘ঈদ জামাতকে ঘিরে শোলাকিয়া ঈদগাহ্ ময়দানে আসা মুসুল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করে বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন মুসুল্লিরা।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৯৭তম পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ঈদ জামাতকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও পুলিশের তৎপরতা সাদা পোশাকে অব্যাহত থাকবে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে চেকিং হয়ে মুসুল্লিরা মাঠে প্রবেশ করবে। কাউন্টার টেরোরিজমসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। আশা করি নিরাপদে নির্বিঘ্নে মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরতে পারবেন।
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল্ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়, আবার শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় ভৈরব পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৩ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়, আবার শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৪ কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়।
শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শটগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুঁড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সঙ্কেত দেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ