ঢাকা, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

ঘুমের মধ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা 

প্রকাশনার সময়: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৮

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে রাতের অন্ধকারে ঘুমের মধ্যে মনির হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) শেষ রাতে আহত কিশোরের নিজ ঘরে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে।

সে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের মৃত মোছাব্বির মিয়ার ছেলে।

আহত কিশোর বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুশয্যায় রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামে এখন আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের সামনের একটি চায়ের দোকানে মৃত মোসাব্বির মিয়ার বড় ছেলে তোফায়েল এবং পাশ্ববর্তী জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে গ্রামের মুরব্বিরা বসে তাৎক্ষণিক দুইজনকে মিলিয়ে মিমাংসা করে দেন। শুক্রবার তোফায়েলের ছোট ভাই কিশোর মনির হোসেন রাতের খাবার খেয়ে নিজ বাড়ির ঘরের বারান্দার রুমে একা ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ গভীর রাতে তার চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে দেখেন সে বিছানার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছটফট করছে। তখন পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে সে জানায়, জয়পুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন সহ কয়েকজন বারান্দার রুমে ডুকে তার মুখ চেপে ধরে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত বের হয়ে গেছে। তখন ঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে কিশোর মনিরকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তার অবস্থা বেগতিক দেখে ভোর রাতে তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে গত দুইদিন ধরে কিশোর মনির হোসেন চিকিৎসাধীন মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।

কিশোরের বড় ভাই তোফায়েল জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে দোকানে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এর জেরেই আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে রাতে ঘুমের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে আলামিন গংরা। তিনি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, তার পেটে এবং উরুতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান, নাজিম উদ্দীন।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ