সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই হামলার শিকার হয়েছেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে ইফতারের সময় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনীর লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখন নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙে যায় এবং স্বামী নুরু গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে সাগরীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের বাসিন্দা তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এ সময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আবদুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয়-স্বজনের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।

এছাড়াও তাদের হামলায় আরও আহত হন স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা. ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে কোরবান আলী, আমিরুল, সাগরী ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ/এনএস