ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাখাইনে জান্তা সেনা ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই

প্রকাশনার সময়: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে তুমুল লড়াই চলছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তার ডান হাতে গুলি লেগেছে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। গুলিবিদ্ধ প্রবীর চন্দ্র ধর ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার। ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে রাতভর ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠে সীমান্তবর্তী এলাকা। গতকাল রাতে এই তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রকেট লান্সার এসে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সেই গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি গুলি অটোরিকশায় এসে লাগে। এরপর রাতে বাড়ে লড়াইয়ের তীব্রতা। ভোর রাত থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্তবাসীর চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/এসএমআর/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ