চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও গ্রাম্য প্রধান নূর মোস্তফা ওরফে বজল হত্যা মামলার আসামি মোরশেদ আলমকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বহরপুর এলাকায় মোরশেদ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদের নেতৃত্বে যশোর জেলার অভয়নগর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোরশেদ সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বহরপুর এলাকার নুরুল আবছার কালুর ছেলে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ জানান, আধিপত্য বিস্তার, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ডাকাত তৌহিদ ও তার অনুসারীরা গ্রামের সর্দার বজলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনার দুই দিন পর ২৭ ডিসেম্বর ডাকাত তৌহিদ ও মোরশেদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় আসামিরা। তবে প্রযুক্তির সাহায্যে এ হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি মোরশেদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার রাতে যশোরের অভয়নগর থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির সামনের উঠানের দক্ষিণ কোণে মাটির নিচে পুঁতে রাখা কালো প্লাস্টিক থেকে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হত্যা মামলার পাশাপাশি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি মোরশেদ গ্রামের সর্দার বজল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মোস্তাকিম তাসিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মোরশেদ জানান, তৌহিদের সঙ্গে মিলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ করতেন। আর এসব কাজে বাধা দিতেন গ্রামের সরদার বজল। তাই তাদের পথের কাঁটা হলো বজলকে হত্যা করা তৌহিদের পরিকল্পনায় তাকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া। ওই দিন সন্ধ্যায় বজলকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করেন। পরে বুকে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি তৌহিদসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ