দেশে চলমান পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শামীম মিয়া (৩৮) নামে প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঘোড়াঘাট থানায় এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার শামীম মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধন গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।

প্রেস কনফারেন্সে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মামলার বাদী ঘোড়াঘাট মহিলা কলেজের একজন কর্মচারী। এক পর্যায়ে প্রতারক শামিম মিয়ার সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। এরই সুবাদে শামীম মিয়া বাদীকে জানান, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী এবং বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে অনেকের চাকরি নিয়ে দিয়েছেন।

বাদী আসামির এসব কথা বিশ্বাস করে, ছেলে ফয়সালের জন্য পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির ব্যবস্থা করতে তাকে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা দেন। প্রতারক শামীম এ সময় বাদীর ছেলেকে কনস্টেবল পদে চাকরির সিল স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ভুয়া সুপারিশপত্রও এনে দেন। এ ঘটনার পর নিয়োগের তারিখ অনুযায়ী বাদীর ছেলে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে উপস্থিত হয়ে চাকরি না পেয়ে ফেরত আসে।

পরবর্তীতে বাদী বিষয়টি শামীমকে জানালে, তিনি তাকে পুরোপুরি আশ্বাস দেন। কিন্তু বাদী প্রতারক শামীম মিয়ার কথাবার্তা ও কার্যকলাপ দেখে, তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তিনি একজন প্রতারক এবং বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে, থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক শামীম মিয়াকে তার শ্বশুরবাড়ি ঘোড়াঘাট পৌরসভার নয়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতারক শামীম মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএস