ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মুশফিক-শান্তর ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশনার সময়: ১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:১৬ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৮

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই বিপর্যয়ের খাদ থেকে তুলে এনে দলকে জয়ের পথ দেখালেন শান্ত-মুশফিক। ৫২ বলে ফিফটি করেছিলেন। সেই ফিফটি ১০৮ বলে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেই সেঞ্চুরির সুবাদে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে লিয়ানাগের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।

জবাবে খেলতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২২ রান করেছেন শান্ত। তাছাড়া মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৭৩ রান।

২৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাজে শুরু ছিল বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশঙ্কার করা গুড লেংথ ও ব্যাক অব লেংথের মাঝামাঝি করা ডেলিভারি স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন এই ওপেনার।

লিটন গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরার পর টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটি খাটো লেংথে করেছিলেন মাদুশঙ্কা। অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে অন সাইডে পুল করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। মিস টাইমিংয়ে ৩০ গজের বৃত্তের ভেতরে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন। ৯ বলে ৩ রান করে আউট হন সৌম্য।

দুই ওপেনার দ্রুত ফেরার পর দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাওহিদ হৃদয়ের ওপর। বিপদে দলের হাল ধরতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। উল্টো দ্রুত সাজঘরে ফিরে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন তিনি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে ছিলেন প্রমোদ মাদুশান। এই পেসারের করা গুড লেংথের ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেছেন হৃদয়। বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

২৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই দেখে-শুনে খেলে বড় জুটির দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে ৩৭ রানে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে লাহিরু কুমারাকে পুল করতে গিয়ে মাদুশঙ্কার হাতে ধরা পড়েন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

মাহমুদউল্লাহ থিতু হয়ে ফিরলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন শান্ত। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫২ বলে ফিফটি করেছিলেন। পরের ৫০ রান করেছেন ৫৬ বলে। সবমিলিয়ে ১০৮ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন শান্ত।

শেষ পর্যন্ত ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন শান্ত। যা ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ারসেরা। আর মুশফিক অপরাজিত ৭৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ