ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাড়াশের কৃষকদের

প্রকাশনার সময়: ১১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতি বছরই বাড়ছে গ‌মের চাষ। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় বোরো চাষের পাশাপাশি গম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ব‌্যাপকভা‌বে গ‌মের চাষ বৃ‌দ্ধির ফ‌লে কৃষি ব্যবস্থায় ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

উপজেলা কৃষি অ‌ফিস সূত্রে জানা যায়, গম চাষ মূলত শীত প্রধান দেশের অর্থকরী ফসল। ত‌বে আমা‌দের দে‌শেও গ‌মের চাষ হয়, য‌দিও গম চা‌ষের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন কর‌ছে। ত‌বে কৃষিবিদরা ম‌নে ক‌রেন কৃষকদের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। গমে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়া, সেচও কম দি‌তে হয়, সারও কম লা‌গে তাই উৎপাদন ব্যয়ও কম। ধানের চে‌য়ে তুলনামূলক গমের দামও ভালো। তাই কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষ্যে গম আবাদে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন তারা।

এ অঞ্চলে সাধারণত. বারি-৩২ ও ৩৩ জাতের গম চাষ করা হয়। কারণ এই গ‌মে পোকার আক্রমণ কম হয় এবং ফলন ভালো হয়। ফলে কৃষকরা বারি-৩২ ও ৩৩ জাতের গম চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের রানী‌দিঘী গ্রা‌মের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, বিগত বছরগু‌লো‌তে গমের বাম্পার ফলন ও অধিক লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার আমিসহ অনেক কৃষকরাই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের গম চাষে ঝুঁকছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও গম চাষে আর্থিকভাবে অধিক মুনাফা লাভ করবে চাষিরা বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

চরহামকুড়িয়া গ্রামের গম চাষি মাসুম মোল্লা বলেন, বিল এলাকার চেয়ে চর অঞ্চলে গমের ফলন ভালো হয়। তাই এ বছর চরে ব্যাপক গম চাষ হয়েছে। গমের বাজার মূল্য ভাল থাকলে কৃষক বেশ লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নে এবার ৩১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করেছে কৃষক। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ২২০ হেক্টর জমিতে বারি-৩৩ ও ৯০ হেক্টর জমিতে বারি-৩২ জাতের গম চাষ করা হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভূগর্ভের পানির স্তর ঠিক রাখতে ধান চাষের পাশাপাশি এ উপজেলার কৃষকদের গম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কৃষকরা যেন গম চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন তাই আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যয়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে থেকে তাদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ