ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শীতে ত্বক ভালো রাখতে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশনার সময়: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪০ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭

সারাদেশেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডার কারণে অনেকেই হয়তো পানি কম খাচ্ছেন। আর আপনার মনের অজান্তেই এর প্রভাব পড়ছে আপনার ত্বকের উপরে। ফলে শুষ্ক ত্বক আরও খসখসে হচ্ছে। তৈলাক্ত ত্বকেও এর প্রভাব পড়ছে। শুধু পানি খেয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আবার শুধু তেল বা ক্রিম মাখলেও ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখা কঠিন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানির পাশাপাশি খাওয়া যেতে পারে কয়েকটি খাবার।

জেনে নিন শীতে ত্বক ভালো রাখতে যেসব খাবার খাবেন-

সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং পুষ্টি গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি৷ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ, সি, ডি এবং ই এর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলো শীতের শুষ্কতা থেকে বাঁচাবে ত্বক।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা ত্বক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শীতের কঠোর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। শীতের সময় নিয়মিত খান পুষ্টিকর মিষ্টি আলু। ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও কোমল।

কাঠবাদাম : ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে যে ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই বাদাম। নিয়মিত ৫ থেকে ৭টি কাঠবাদাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজ়ারের পরত সুরক্ষিত থাকে।

টমেটো: টমেটোতে লাইকোপেন নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। পরিবেশে নানা ধরনের দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে টমেটো। তা ছাড়া এই সবজিতে ভিটামিন সি এবং পানির পরিমাণও বেশি। যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

চিয়া বীজ: ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড-এ ভরপুর চিয়া বীজ ত্বকের স্বাভাবিক তেল বা সেবামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এই বীজে পানির পরিমাণ অন্যান্য বীজের তুলনায় বেশি। তাই পর্যাপ্ত পানি খেতে না পারলে এই বীজ খেতে পারেন।

ডাবের পানি: ডাবের পানিতে শরীরের জন্য উপকারী নানা ধরনের খনিজ রয়েছে। এসব খনিজ শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে থাকা সাইটোকাইন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের আর্দ্রতা এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

টক দই: প্রোবায়েটিক খাবার হিসাবে পরিচিত টক দই পেটের জন্য ভালো। অন্ত্র ভালো থাকলে যেমন বিপাকহার ভালো হয়, তেমনি ত্বকেরও উন্নতি হয়। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র এবং উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

পালং শাক: পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজের পাওয়ার হাউস হচ্ছে পালং শাক। এতে রয়েছে আয়রন এবং ত্বকবান্ধব ভিটামিন ই। পালং শাকের ভিটামিন এ এবং সি ত্বক মেরামত প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বজায় রাখে। পালং শাকও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশনে ভরপুর, যা আপনার ত্বককে রাখবে সুস্থ।

মাছ: মাছের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। মাছ হলো ওমেগা ৩ এর অন্যতম প্রধান উৎস। ডায়েটে মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন তাই। ডুবো তেলে ভাজার পরিবর্তে স্টিমিং, গ্রিলিং, পোচিং বা বেকিং পদ্ধতি বেছে নিন।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ