ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৫

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজ, মিডিয়া, কৃষক, শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে চলছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির ২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন প্রেস সেন্টার আয়েজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন অভিমত জানান ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি (উপ-সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আফরিন আখতার।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালী করার ওপর নির্ভর করছে দীর্ঘ মেয়াদী গণতন্ত্র। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজের জন্য ক্ষেত্র তৈরিতে মনোযোগী যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্দো-প্যাসেফিক স্ট্র্যাটেজির দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশ এবং ইন্দো প্যাসিফিক সম্পর্কে আমি কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। আমেরিকা কীভাবে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থানকে বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটি নিয়ে কীভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছে? কয়েক বছর ধরে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কঠোর সমালোচনা শুনেছি। বাংলাদেশের নতুন কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে এটি নিয়ে আপনাদের ভূমিকা কী হবে?

জবাবে আফরিন আক্তার বলেন, আমি জানি এটা আপনার জন্য একটি ভালো প্রশ্ন। তাই আমি মনে করি, আপনি জানেন, আমরা বিষয়টিতে ফোকাস করছি। আমরা অবিশ্বাস্যভাবে বাংলাদেশে সুশীল সমাজকে যুক্ত করার দিকে মনোনিবেশ করছি। আবার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রথম স্তম্ভ হল একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। তাই আমি সাউথ এশিয়া গভর্নেন্স ফান্ডের কথা বললাম। আমরা বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছি; যারা সরকারি সেবা পেতে সংগ্রাম করছেন। আমরা শ্রমিক সংগঠকদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা সুশীল সমাজের সব স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে কাজ করছি।

মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হল বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা, দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নিবিড়ভাবে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে সত্যিই সন্তুষ্ট হয়েছি, যা সত্যিই অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা, আমাদের দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা যা করার চেষ্টা করছি তার অনেক কিছুই প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশ অবশ্যই শান্তিরক্ষায় (পিস মিশন) আমাদের অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী। এবং আমরা সেই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে খুবই আনন্দিত।

মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখব। সেক্ষেত্রে আমাদের ফোকাস আসলেই সুশীল সমাজ।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ