ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঈদের বাজারে ভালো গরু চিনবেন কীভাবে!

প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৪, ১৮:১৫

কাল বাদে পরশু পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদ পালনের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে কোরবানি। শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় এবং নির্ধারিত কোন প্রিয় বস্তু আল্লাহর দরবারে পেশ করার নামই কোরবানি। বাংলাদেশে সাধারণত গরু, ছাগল দিয়ে কোরবানি দেওয়া হয়। আর এই কোরবানি ঘিরে এখন বাজারে চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা।

বাজারের সবচেয়ে ভালো পশুটাই কোরবানি করতে চান সবাই। সবাই চান সুস্থ, স্বাভাবিক এবটা পশু আল্লাহর দরবারে পেশ করতে। ইসলাম ধর্মও বলে অসুস্থ পশু কোরবানি না করতে। তবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের কবলে পড়তে হয় ক্রেতাদের।

ঈদ এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে গবাদিপশু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পশুকে এমন খাবার খাওয়ান, যা মানব স্বাস্থের জন্যও ক্ষতিকর। পশু মোটাতাজা করতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, যা হার্ট ও কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হাশেমের মতে, স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু দেখতে আকর্ষণীয়, চকচকে ও হৃষ্টপুষ্ট হয়। তবে, এসব ক্ষতিকর উপাদান রান্নার পরও মাংসে থেকে যায়। এই মাংস খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

তাই, কোরবানির পশু কেনার আগে সতর্ক থাকতে হবে। সুস্থ, স্বাভাবিক পশু কিনতে হবে কোরবানির জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভালো পশু চেনার উপায়।

১. রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু করে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে থাকে। শরীরে পানি জমায় বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে এ সব গরু স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারে না।

২. রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকবে এবং ঝিমাবে। সুস্থ গরুর গতিবিধি চটপটে থাকে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়ায়।

৩. রাসায়নিক বা ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে যেন হাঁপাচ্ছে।

৪. অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরবে। কিছু খেতে চাইবে না। সুস্থ গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে সেটা টেনে খাবে। না হলে জাবর কাটবে।

৫. সুস্থ গরুর নাকের উপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।

৬. সুস্থ গরুর শরীরের রঙ উজ্জ্বল থাকবে। গরুর পিঠের কুজ মোটা, টানটান ও দাগমুক্ত হবে।

৭. সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। যেখানে রাসায়নিক দেয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।

৮. গরুর শরীরে হাত দিয়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ।

৯. সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ