ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জিলকদ ১৪৪৫

‘ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবহিত করেনি প্রশাসন’

প্রকাশনার সময়: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন রাত ৮টার পরে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরীক্ষার কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত ১১টার দিকে দুই শিক্ষক ভবনে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত আনসাররা। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কতৃপক্ষ থেকে অবহিত করা হয়নি বলে জানান ওই শিক্ষকরা।

জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল রাত ৮টার পরে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরীক্ষার কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ড. এম ওয়াজেদ মিয় বিজ্ঞান ভবনে প্রবেশে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে জানা যায়। কিন্ত এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত ১১টার দিকে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ওই ভবনে প্রবেশ করলে আনসার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে নিষেধ করেন। তবে ভবনে প্রবেশের এমন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে প্রশাসন অবহিত করেননি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ভবনে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি জানতাম না। কিছু জরুরি কাগজপত্র অফিসে ফেলে গিয়েছিলাম। পরে সেগুলো নিতে অফিসে গেলে আনসাররা বলেছিল ভবনে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে আমি প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে আসি।

এদিকে, পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ভবনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী তার নিজস্ব কক্ষে একাডেমিক কাজ করছিলেন বলে জানান তিনি। এসময় আনসার সদস্য তার কক্ষে এসে তাকে প্রক্টর বের হয়ে যেতে বলেছেন বলে জানান। পরে তিনি প্রক্টরকে ফোন দিলে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে বলেন বলে দাবি করেন তিনি। পরে আনসার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা চলে যান বলে জানান শিবলী। ভবনে প্রবেশে এমন নিষেধাজ্ঞা থাকলে শিক্ষকদের অবহিত করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বলেন, ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমি সন্ধ্যায় বিভাগীয় কাজে অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত আনসাররা কিছুই বলেনি। পরে আমার রুমে একজন আনসার এসে বলে যে, প্রক্টর স্যার অনুষদ ভবনে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তৎক্ষণাৎ প্রক্টরকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আপনি যেহেতু বিভাগের কাজ করছেন। আপনি থাকেন, কোনো সমস্যা নেই।’’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুস সালাম সেলিমের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভবনে প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবুও ওই শিক্ষকরা ভবনে প্রবেশ করেছিল। পরে ২৭ এপ্রিল আনসারদের অভিযোগসহ নিরাপত্তাকর্মকর্তা আমাকে একটি নোট পাঠায়। আমি সোমবার (২৯ এপ্রিল) এটিকে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেছি। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ