ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাক্ষাৎ

প্রকাশনার সময়: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার। এসময় তাদের সঙ্গে নবগঠিত শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষ্যে আল মাহমুদ কায়েস ও রিয়েল সরকার উপাচার্যের হাতে ফুল তুলে দেন। উপাচার্যও তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দিত করেন। পরে উপাচার্য নবগঠিত কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে উপাচার্য তার বক্তব্যে ছাত্রলীগের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি স্মার্ট ছাত্রলীগ গঠনে, শিল্প বিপ্লবের যুগে ছাত্রলীগের নেতাদের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শও প্রদান করেন। উপাচার্য নবনির্বাচিত কমিটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগের ইমেজ বৃদ্ধিতে কাজ করাসহ একাডেমিক অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে রাজনীতিতে অনুপ্রেরণা দিয়ে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, তোমরা যদি সৎ ভালো রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রমাণ দিতে পারো, আদর্শিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হও; তাহলে রাজনীতিতে তোমাদের ভবিষ্যত ভালো। কেননা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উড়োখইদের জায়গা কম। বরং যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত থাকেন, যাদের পারিবারিক রাজনৈতক ঐতিহ্য আছে, ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন; এগুলো যাচাই বাছাই করেই মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শটাকে যাতে ভেতরে ধারণ করতে পারো, তরুণদের মাঝে এটাকে প্রচার করতে পারো, সেজন্য যারা এটাকে সাথে রেখে অন্য আদর্শের; এদেরকে কিন্তু চিহ্নিত করতে হবে। তা না হলে পচা শামুকে পা কাটবে। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হবে। তাই ছাত্রলীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা সাংগঠনিক কাজে প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ