সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিক্ষক ও সহপাঠীর নাম লিখে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা 

প্রকাশনার সময়: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ।

কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা নামের ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস দেন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে গিয়েছেন অবন্তিকা।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী ও সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো, সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয়নি। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

তিনি আরও লিখেছেন, দ্বীন ইসলাম আমাকে প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনও আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্নজনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ‘খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেন? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে ছাল তুলি, তোরে এখন কে বাঁচাবে?

অবন্তিকা আরও লিখেছেন, এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিল। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এত কুকীর্তির পরও বহাল তবিয়তো থাকে না, এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সো কি না শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।

ওই পোস্টে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে লেখা হয়েছে, আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে, এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম।

এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি, জবি উপাচার্যও ক্যাম্পাসে আসছেন। এখন আমরা জরুরি মিটিং দিয়েছি। মিটিংয়ের পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ