ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রান্না করাকে কেন্দ্র করে জবি ছাত্রী হলে মারামারি, সাংবাদিককে হুমকি

প্রকাশনার সময়: ০৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৪১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টির বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিককে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তার ছেলে বন্ধু ফাহিম ইশতিয়াক। তিনি মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ ব্যাচের ফাহিম ইশতিয়াক।

বুধবার (৬ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে জবি ছাত্রী হলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে রান্নাঘরে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করেন সংগীত বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। এঘটনায় ছাত্রী হলের হাউস টিউটর ও প্রোভোস্টের নিকট লিখিত অভিযোগও দেন আহত শিক্ষার্থী ইতি।

ভুক্তভোগী ইতি খাতুন বলেন, আমি রান্না করছিলাম। পরে চুলা ফাঁকা থাকায় সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চাইলে ছেড়ে দিই। কিন্তু রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় ও আমার ক্লাসের সময় হওয়ায় দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। কিন্তু আমি জুনিয়র বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। আমার বাবা-মা তুলে গালি দেন। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারেন। তার মারধরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত তাসমিম সানজানা সৃষ্টি বলেন, জুনিয়র হয়ে ইতি বেয়াদবি করে। আমার সামনে তেড়ে আসে। এজন্য আমি কি বসে থাকব! আমিও মাইর খাইছি, আমিও অভিযোগ দিছি।

জানা যায়, অভিযোগের বিষয়ে জানতে সৃষ্টির কাছে সাংবাদিক কল করার জের ধরে সৃষ্টির ছেলে বন্ধু ফাহিম ইশতিয়াক এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিউজ করলে মামলার হুমকি দেয়। হুমকির ঘটনায় কল রেকর্ডে শোনা যায়, ফাহিম ওই সাংবাদিককে ফোনে বলেন, এই নিউজ যদি হয়, তুই যদি জড়িত থাকিস তোর খবর আছে। তোর নামে মামলা হবে। তোর লাইফ কিভাবে হেল করতে হয় তা আমি দেখব। তোর সাহস কী! এই চু.. পোলা। তুই আজ দেখা কর। তোর খবর আছে।

হুমকিদাতা ফাহিম নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করেন। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী বলে জানা যায়। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, এই ছেলে ছাত্রলীগের কোনো রাজনীতিই করে না। তাকে আমি চিনিই না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট দীপিকা রানী বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে এটা তোলা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি একটি নিন্দনীয় কাজ। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত কাজ করবে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব। মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও জানান তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ