ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চবিতে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টায় চাকরিচ্যুত অধ্যাপক 

প্রকাশনার সময়: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৭ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০২

চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ও তারই তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর থিসিস করা এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তার চাকরিচ্যুতর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ আবুল মনছুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, যৌন হয়রানির বিষয়টা খুবই গুরুতর ছিলো। এজন্য এই একটা এজেন্ডা নিয়ে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষকে চাকরি থেকে অপসারণ করার জন্য সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনছুর বলেন, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সুপারিশের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর থিসিস করা ও একই বিভাগের এক ছাত্রী।

অভিযোগে বলা হয়, থিসিস চলাকালীন সুপারভাইজার (অধ্যাপক) কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং কেমিক্যাল দেয়ার বাহানায় নিজ কক্ষে ডেকে দরজা আটকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার ও যথাযথ বিচার চেয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে।

অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে তুলে তদন্ত করা হয়। টানা ১৩ দিন তদন্তের পর তদন্ত কমিটি গত মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত অধ্যাপককে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নয়াশতাব্দী/এমএস/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ