ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের আওতায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজেনর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনে গত ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যায়সমূহের ভর্তি কমিটির একাধিক সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা এই পর্যায়ে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কমিশন কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত হয়ে পূর্বের তিনটি ভর্তি পরীক্ষার ধারাবাহিকায় জিএসটি গুচ্ছের আওতায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছে অংশগ্রহণ করলে শিক্ষকরা গুচ্ছ ভর্তি সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে অংশ নিবে না বলেও জানান তারা।

এদিকে, ইবির গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইউজিসির নজরে আসায় মঙ্গলবার এক নোটিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরো ৬ জন মনোনীত প্রতিনিধিকে বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান ইউজিসি।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন সংক্রান্ত সভায় অংশগ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি হতে পারে বলে জানান মনোনীত প্রতিনিধিরা। এমতাবস্থায় বুধবার মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করতে না পারার কথা জানিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাছে চিঠি দেন। এছাড়াও সভায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ইউজিসির চিঠি দেখে প্রতীয়মান হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপাচার্য ইউজিসিকে জানাননি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির মিটিং আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি ক্যাম্পাসে নেই। ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিব।

ইউজিসির চেয়ারম্যানের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তাহের বলেন, এ বিষয়ে কোনো পর্যায়ে আছে তা আমার জানা না থাকায় মন্তব্য করতে পারছি না।

নয়াশতাব্দী/এসএ