ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মুখোমুখি অবস্থানে জাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষ

অবাঞ্ছিত সম্পাদকের ক্যাম্পাস ছাড়ার দাবি
প্রকাশনার সময়: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করার দাবিতে ফের উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। এসময় লিটনকে 'পোষ্য কোটার' শিক্ষার্থী হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করে হল থেকে বের করার দাবি জানায় শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষ৷

বুধবার(৩১ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ‘বিদ্রোহী গ্রুপ’ নামে পরিচিত শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক লিটনের ৬ হলের অনুসারীরা। এসময়, মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ ও রসায়ন বিভাগ ভবন ঘুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নেয়।

অন্যদিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে পাল্টা অবস্থান নেয় ওই হলের এবং শহীদ তাজউদ্দীন হলের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷

শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষ থেকে জানা যায়, প্রায় ১বছর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে চলছে শাখা ছাত্রলীগ। জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ করে গত ২৩ জানুয়ারি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

গতকাল তদন্ত চলাকালে এবং শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনা হলে নতুন কমিটি দেয় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেলিন মাহবুব বলেন,'অবাঞ্ছিত সেক্রেটারি কিভাবে হল কমিটি দেয় তা আমাদের বোধগম্য না৷ ছাত্রলীগ কারো একার সংগঠন না, আমরা সবাই মিলেই ছাত্রলীগ। তারা আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই দুটি হল কমিটি দিয়েছে। আমরা এসব কমিটি মানি না। অবিলম্বে অবাঞ্ছিত লিটনকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে৷'

নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হল কমিটি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন,' আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হল কমিটি দিয়েছি। যতদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে কোনো ধরনের দিকনির্দেশনা না আসছে, ততদিন জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটনই থাকবে।

যে ৬টি হল তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে, সে হলগুলোতে আমরা কমিটি দিব না।' বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন,'ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দেখবে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনা৷ ইতোমধ্যে আমি ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।'

নয়া শতাব্দী /আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ