ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬

গাজীপুরে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালিত

প্রকাশনার সময়: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৯

বাংলা বছরের শেষ দিন, অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। হিন্দুশাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যময় বলে মনে করা হয়। এক সময় এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎসব হতো চৈত্র সংক্রান্তিতে।

একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সে উৎসব।

তবে আজো বাঙালি আগলে রেখেছে সংক্রান্তির দুটি উৎসবকে। একটি চৈত্র সংক্রান্তি, অপরটি পৌষ সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লোকজ পূজার চল ছিল। চৈত্র সংক্রান্তি ও এর আগের কয়েকদিন মিলে পালিত হতো চড়ক পূজা। সন্তান প্রাপ্তি, দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ ও মনের বাসনা পূরণের আশায় পূজা করা হতো। পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই ব্রত এবং সংযম পালন করতেন ভক্তরা।

এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরে শতশত লোকের সমাগমে পালিত হয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের বড় কয়ের শ্মশানঘাট কালী মন্দির নদীর পাড়ে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কালী পূজা।

প্রায় দুইশ’ বছরের ঐতিহ্যের এই উৎসবকে ঘিরে জনসাধারণ বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সময়ের পরিক্রমায় মেলার জৌলুস আগের চেয়ে কমে গেছে বলে জানান প্রবীণজনরা।

বড় কয়ের গ্রামে পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজনস্থলে নানা ধরণের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা। শুধু কয়ের গ্রাম নয়, আশপাশের অনেক এলাকা থেকেও ভক্ত-পূণ্যার্থীরা আসেন এই পূজা উৎযাপন করতে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উদযাপন কমিটি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা।

মেলার জৌলুস আগের চেয়ে কমে গেছে জানিয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, কালী মন্দিরের এই স্থানটি এক সময় ১০ ফুট গভীর ছিল, কিছুই ছিলনা এখানে। ভক্তদের অসুবিধা হতো পূজা উৎযাপনে, আস্তে আস্তে টিনের আটচালা থেকে এখন পাকা হয়েছে বটে। তবে সেই জৌলুস নেই। অনেক কিছুই এখন শুধু স্মৃতি।

গৌতম চন্দ্র দাস আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আজ শত শত লোক এখানে উপস্থিত হয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি। এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎযাপিত হয়েছে।

চৈত্র সংক্রান্তির পূজা ও পাঠা বলির আয়োজন পরিচালনা করেন পুরোহিত সজল চক্রবর্তী ও রবি চক্রবর্তী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ দাস, বড় কয়ের দুর্গা মন্দিরের সভাপতি রঞ্জন কুমার দাস (টিটু), সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ দাস অপু, কালী মন্দির কেশিয়ার বিকাশ দাস, ভূমি কর্মকর্তা তপন দাস, পূবাইল আদর্শ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শ্যামল চন্দ্র দাস প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ