ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

হোসেনপুরে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের প্রভাবে ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার জন্য ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের মোট চাহিদা রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট। সেখানে তারা চাহিদার এক তৃতীয়াংশ পাচ্ছে, এর মধ্যে পৌর এলাকায়ই চাহিদা রয়েছে আড়াই থেকে পৌনে তিন মেগাওয়াট। উপজেলার ৬টি ফিডার এক সাথে সচল রাখতে পারছে না বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সাবষ্টেশন। তাই বাধ্য হয়েই অন্য সব ফিডারগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। পৌর এলাকায় লোডশেডিং কিছুটা কম হলেও গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি।

সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, রমজান মাসে সেহেরি খেতে হয় মোবাইল ফোনের আলো দিয়ে। এ ছাড়াও তারাবির নামাজ আদায় করতে হয় লোডশেডিংয়ের মধ্যেই। রোজা রেখে শরীরে ক্লান্তি আসলেও একটু স্বস্তিতে ঘুমাইতে পারি না।

আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাইল গ্রামের শামীম আহমেদ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস সব নষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মনে হয় আমরা মানুষই না।

হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ফেরদৌস আহমেদ জানান, কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া ও সেচ মৌসুমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েছে। আমাদের চাহিদা ১৫ মেগাওয়াট হলেও গ্রিড থেকে এখন ৫ মেগাওয়াট পাচ্ছি। বরাদ্ধ বেশি পাওয়া গেলে লোডশেডিং থাকবে না। ঈদ উপলক্ষ্যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে হলে হয়ত লোডশেডিং কিছুটা কমতে পারে, তখন ঈদে বাড়িতে আসা গ্রাহকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ