‘চাকরি নয়, সেবা’ স্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে পিরোজপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পাচ্ছেন ২৮ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গভীর রাতে ফলাফল প্রকাশ করে কৃতকার্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (পিপিএম)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান, বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ।
ট্রেইনি রিক্রুট কনেস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী সহ মোট ২৮ জনকে কৃতকার্য ঘোষণা করেছে পুলিশ সুপার। চলতি বছরের ৮ মার্চ থেকে শুরু করে ৪ এপ্রিল এসে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরে ৯৫০ জন প্রার্থী প্রাথমিক ভাবে আবেদন করেছিলো। মাঠের যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় ৩৫০ জন পরীক্ষার্থী সিলেক্ট হয়েছিলো। লিখিত পরিক্ষায় ৩৪৭ জন অংশগ্রহণ করে ৮২ জন উত্তির্ণ হয়। ৮২ জনের মধ্যে থেকে ২৪ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
কৃতকার্য নতুন সদস্যরা জানান, কাউকে কোনো টাকা পয়সা না দিয়ে মাত্র ১৬০ টাকার বিনিময়ে তারা পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনেস্টেবল নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষক ও দিন মজুর পিতার সন্তানরাও মাত্র ১৬০টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে অনেকটাই আনন্দ ও অশ্রুসিক্ত।
অভিভাবকরা জানান, এটা ভাবতেই অবাক লাগে এযুগেও মাত্র ১৬০ টাকায় পুলিশের চাকরি হয়। কোন প্রকার লবিং না করে কোন প্রকার ঘুষ না দিয়ে মাত্র ১৬০ টাকায় পুলিশে চাকরি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলেই পিরোজুপুরের পুলিশ সুপার, আইজপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এবং আইজিপি স্যারের আদেশ মত আমরা নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী সহ মোট ২৮ জনকে কৃতকার্য হয়েছে। এই চাকরির জন্য মাত্র ১৬০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কোন টাকা কাউকে দিয়ে হয়নি। আমি এবং আমার বোর্ডের সদস্যরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার সাথে এই নিয়োগ প্রকৃয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ