ঢাকা, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

‘প্রতিবেশীরা বলাবলি করত, রূপাকে নাকি জ্বিনে আছর করেছে’

প্রকাশনার সময়: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৮
নদী থেকে রূপার মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়াল সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি- নয়া শতাব্দী

কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন রূপা আক্তার (২৬) নামে এক তরুণী। দিনে কয়েকবার গোসল করতে চাইতেন তিনি। সন্ধ্যায় গোসলখানায় পানি না পেয়ে দৌঁড়ে গিয়ে বাড়ির পাশের কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন রূপা। এরপর থেকেই নিখোঁজ।

সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়া সংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাত ১০টার দিকে রূপার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। মৃত রূপা আক্তার বৈশাখীপাড়া গ্রামের মোসলেম সরদারের মেয়ে।

নিহতের মা রানু বেগম জানান, কয়েকদিন ধরেই তার মেয়ে রূপা অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। প্রতিবেশীরা বলাবলি করত, রূপা আক্তারকে নাকি জ্বিনে আছর করেছে। রোববার সকালে ঝাড়ফুঁকের জন্য মেয়েকে ফকিরের কাছে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরেও কয়েকবার গোসল করেন আর কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজতে থাকেন রূপা। ইফতার শেষে রানু বেগম মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন। ওই সময় রূপা আবারও পানি খুঁজতে খুঁজতে গোসলখানায় যান। সেখানে পানি না পেয়ে দৌঁড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। রূপার মা পেছনে পেছনে দৌঁড়ে গিয়েও রূপাকে আর খুঁজে পাননি।

নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে আমাদের সদস্যরা তরুণীকে উদ্ধারের জন্য ছুটে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই পানির নিচ থেকে রূপার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ