ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ধর্ষণচেষ্টার মামলা করায় বাদীকে হুমকি

প্রকাশনার সময়: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১১:১০

সাভারের আশুলিয়ায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সম্প্রতি মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

তবে গ্রেপ্তারের পর থেকে অভিযুক্তর পক্ষ নিয়ে আপোষ মিমাংসা করে দিতে চাওয়া কথিত মাতব্বর আনারুল নামের এক মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ী মামলার বাদীকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার (৬ মার্চ) আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মামলার বাদী পোশাক শ্রমিক সেলিনা বেগম।

তিনি বলেন, গত সোমবার (৪ মার্চ) আমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমাদের ভাড়া বাসার ম্যানেজার মো. কবির হোসেনের নামে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলা তুলে নিতে আনারুল (৪০) নামের এক ব্যক্তি চাপসৃষ্টি করছেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও বাসায় এসে শাশিয়ে গেছেন।

আনারুল হক প্রথম দিন থেকেই ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন জানিয়ে সেলিনা বেগম বলেন, তার কথামতো মিটমাট না করলে নির্যাতনের হুমকিও দেন ওই ব্যক্তি। এমনকি থানা পুলিশের শরণাপন্ন যেন না হতে পারি, এজন্য আমাদের নজরদারিতে রাখা হতো। আপোষ মিমাংসা না করে থানায় মামলা করায় আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আনারুল। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ওপর হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন।এতে আমরা চরম আতঙ্কিত।

তবে অভিযুক্ত আনারুল হক বলেন, তারা আমার পূর্ব পরিচিত। তাই বিষটি আমি মিমাংসার চেষ্টা করি। আমি কাউকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেইনি। আপনি আসেন সাক্ষাতে বসে চা খাই ও কথা বলি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা পারিবারিকভাবে মিমাংসা করার চেষ্টার কারণে আসামি গ্রেপ্তার করতে দেরি হয়েছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বড় বোনের দুই সন্তানকে দেখাশোনা করতো। অভিযুক্ত বাড়ির ম্যানেজার কবির হোসেন বিভিন্ন সময় তাকে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন বাসা ফাঁকা পেয়ে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করার প্রায় ২০ দিন পর গত ৪ মার্চ অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। সেইসঙ্গে ওই দিনই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ