ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এটেন্ডেন্টস মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে । এ মামলা থেকে রেহাই পেতে টাঙ্গাইল কোর্টে ১০৭/১১৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান।

মামলার বিবরণে বাদী মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘আমি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের এটেন্ডেন্টস হিসেবে কর্মরত আছি। উপজেলা হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানের লাগামহীন দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এনিয়ে গত শনিবার (২ মার্চ) হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির সাক্ষাৎকার দেই। ডা. সাইদুর রহমানের আপন ছোটভাই সাদেকুর রহমানকে বিনা নিয়োগে পরিসংখ্যানের মতো গরুত্বপূর্ণ জায়গায় ও প্যাথলজির ক্যাশ একাউন্টে মো. ইউনুসকে বসিয়েছেন। এছাড়াও নানা অনিয়ম দুর্নীতির সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছি। সেই সাক্ষাৎকার দেওয়ায় পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান আমাকে বিভিন্ন অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি প্রদান করে। তাই গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

অভিযোগ দায়ের করায় গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে হাসপাতাল গেইটে ডা. সাইদুর রহমান তার বাহামভুক্ত লোকজন দিয়ে আমাকে জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। অন্যথায় আমার পরিবারকে মেরে মরদেহ গুম করার হুমকি ও মিথ্যা মামলাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সে তার অফিসের ফরমাইশের কাজ করা সোলাইমান নামের এক ছেলেকে দিয়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা করিয়েছেন। এঘটনায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পুনরায় গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘খ’ অঞ্চল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি ও আমার পরিবার এসকল ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তপতাহীনায় ভুগছি। ওই ঘটনায় দুর্নীতিবাজ ডা. সাইদুর রহমানের সঠিক বিচার দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র কাছে জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মনির হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগকারী সোলায়মানের বাবা আক্তার হোসেন জানান, আমার ছেলে সাইদুর ডাক্তার স্যারের ওখানে ফুট ফরমাইশের কাজ করে। কিন্তু মনির কিসের দুর্নীতি নিয়ে টিভিতে কথা বলছে এ কারণে সাইদুর ডাক্তার ষড়যন্ত্রমূলক আমার ছেলেকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে মনিরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আমার ছেলেকে বাড়িতে আসতে দিচ্ছে না। কয়েকদিন যাবৎ তাকে আটক রেখেছে।

এ ব্যাপারে সাইদুর ডাক্তার বলেন, ‘আপনাদের কোনো সমস্যা হবে না। আর এই কেস এখন ভোলামন্ত্রীর কাছে গেছে গা। আমি চাইলে আর কিছুই করতে পারমু না, তবে বাড়িতে চলে যান; আপনাদের কোনো সমস্যা হলে আমি দেখমু চুপ করে থাকেন।’ এই বলে আমাদেরকে একা বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই; আর মনিরের সাথে আমার ছেলের কোনো বিরোধ নেই। মনির আর আমরা একি বাড়ির মানুষ।

মামুন হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানায়, বর্তমানে হাসপাতালে কোনো প্রকার চিকিৎসা নিতে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। আর ডাক্তার সাইদুর রহমানের ব্যবহার খারাপ। তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন; যেন দেখার কেউ নেই? সঠিক তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এব্যাপারে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানের কাছে জানতে মোবাইলে কল দিলে রিসিভ না করে সংযোগটি কেটে দেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ