ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

‘ভারতের সাথে নৌপথ বাণিজ্যে রাজশাহীর অর্থনীতি গতিশীল হবে’

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৮

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী থেকে ভারতের নৌপথে বাণিজ্য চালুর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর তা বাস্তবায়ন হলো। এতে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌপথ আবারও চালু হলো। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতাভুক্ত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুধী সমাবেশে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পুরো রাজশাহী আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকা। এ অঞ্চলে কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলন হলেও শিল্পায়ন না হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে আমরা পিছিয়ে আছি। ভারতের সাথে নৌপথে বাণিজ্যের কারণে আমরা অনেকভাবে লাভবান হব। ভারত থেকে কয়লা, পাথর, ফ্লাইএ্যাশসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা যাবে। বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এতে রাজশাহীর অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা, বাণিজ্যের ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত হয়েছে, আজকে ভারত আমাদের নৌপথ, রেলপথ ও সড়কপথও ব্যবহার করছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে মায়া থেকে সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌপথটি চালু হলে ভারত এই পথ ব্যবহার করে তাদের সেভেন স্টার প্রদেশে স্বল্প খরচে পণ্য নিয়ে যেতে পারবে। আমরা এখান থেকে অনেক রাজস্ব পাব, উভয় দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবো; সেই পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

রাসিক মেয়র বলেন, গ্লোবাল ভিলেজের এই যুগে বর্তমানে নিজেকে গুটিয়ে রাখা বা আড়াল করে রাখার সুযোগ নাই। সব দেশ নিজেদের বর্ডার প্রতিবেশী দেশের শেয়ার করে মানুষের যাতায়াতের কল্যাণ, ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভবান হতে চায়। আজকে যে নৌপথে নৌযান চলাচল চালু হলো, আগামীতে সময়ের বিবর্তনে বিশাল ক্ষেত্রে পরিণত হবে। সেখানে অজস্র মানুষের কর্মসংস্থান হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি-এই কামনা করি।

সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ