ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

৪ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় মামলা

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চার লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন মোছা. ফাতেমা খাতুন নামে এক ভুক্তোভোগী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মোছা. ফাতেমা খাতুন গোন্তা আলিম মাদরাসার আয়া পদে চাকরি প্রার্থী ছিলেন। তিনি তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের মেয়ে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মুনতাসীন মামুন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোন্তা আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া-এ চারটি পদের জন্য গত বছরের ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়া পদে যথানিয়মে আবেদন করেন মোছা. ফাতেমা খাতুন।

এদিকে মোছা. ফাতেমা খাতুনের কাছ থেকে তৎকালীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদরাসার অধ্যক্ষ টিআর মো. আব্দুল মান্নান ছয় লাখ টাকা উৎকোচ নেন। ২০২৩ সালের ২১ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয় ভুক্তোভোগী প্রার্থী মোছা. ফাতেমা খাতুনকে। কিন্তু নিয়োগের দিন আরও একাধিক প্রার্থীর কাছে থেকে উৎকোচ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় তারা বিক্ষোভ করেন। এদের মধ্যে দুজন প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ডিজির প্রতিনিধি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান।

এদিকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মাদরাসার অধ্যক্ষ গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে পূর্বের বৈধ প্রার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়েই নিয়োগ কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ভুক্তোভোগী মোছা. ফাতেমা খাতুনের কাছ থেকে নেওয়া উৎকোচ ছয় লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি চার লাখ টাকা ফেরত দেননি। এতে ভুক্তোভোগী আদালতে মামলা করেন।

মোছা. ফাতেমা খাতুন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বে ২০২০ সালে অধ্যক্ষ টিআর মো. আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন। যার ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যক্ষ টিআর মো. আব্দুল মান্নান বলেন, নিয়োগ বোর্ড ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে পদগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/টিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ