ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ব্যক্তি মালিকানা জমিতে সরকারি খাল, প্রকল্প বন্ধের দাবি

প্রকাশনার সময়: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৪

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের গোলবাহার গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে খাল খনন প্রকল্প বন্ধের দাবিতে জমির মালিকরা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাজের সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী দফতর, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলবাহার মৌজার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত হতে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বর্তমান রাস্তার পূর্ব পার্শ্ব সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিদ্যমান। অনেক বছর আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করার ফলে জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন নতুন করে খাল খনন করা হলে জমির মালিকরা আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হবে। খান খনন প্রকল্পের মাটি কাটতে হলে জমির সকল মালিকের জমির সীমানা নির্ধারণ করে খাল খনন করা হোক এমন দাবি করছেন এলাকাবাসী।

বর্তমান নাল/খালটি রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে অবস্থিত। জমির মধ্যে খাল খনন, মাটি কাটা বন্ধের জন্য আবেদন করেন মালিকরা।

সরকারি বিধি বিধান ও খাল খনন আইন অনুযায়ী কাজ করলে অভিযোগকারীদের কোনো আপত্তি থাকবে না। ভূমি জরিপ (সিএস, এসএ ও বি এস) অনুযায়ী খালের জায়গার অবস্থান রাস্তার কিছু অংশ এবং রাস্তার ঢালের মধ্যে অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কৃষি জমির মালিক মারফত আলী মজুমদার, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর খান, বেলায়েত ও ইব্রাহিম খানসহ অনেকে বলেন, ব্যক্তি মালিকাধীন জমির উপর স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতরের প্রকল্পে খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই খালটির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আমাদের জমির উপর এখন খালের অংশ চলে যায়। এখন খাল খনন করলে আমাদের কৃষি জমি, বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। এই খাল খনন সরকারি জায়গার উপর দিয়ে গেলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বর্তমানে যেখান থেকে কাজ শুরু করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে ওই স্থানে খাল খনন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। যদি পরিষদে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, অভিযোগ পেয়েছি খালটির জায়গায় নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বরাবর চিঠি ইস্যু করছি।

নয়াশতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ