ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

তিস্তার চরে আগাম জাতের আলু চাষ, দামে খুশি চাষিরা

প্রকাশনার সময়: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৩

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। ফলনে ও দামে খুশি কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৩০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এক হাজার ৯০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার তিস্তার চরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। তারা জমিতে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের দিয়ে সারাদিন আলু তুলছেন। আবার কোথাও জমিতেই আলু তুলে পাইকারি বিক্রি করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারিতে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা।

জমি থেকে পাইকাররা ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

তিস্তার চরের আলু চাষি রোস্তম আলী (৬৫) জানান, এবারে আলু চাষ করেছেন প্রায় ২ একর জমিতে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আলুর আশা করছেন প্রায় ৩শ মণের। বর্তমান বাজারে পাইকারিতে আলু মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭শ টাকা। ৩শ মণ আলুর দাম হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। খরচ হওয়ার পরেও লাভের আশা করছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকার।

এ ছাড়াও তিস্তার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার আলু চাষিদের মধ্যে ছক্কু মিয়া, ফুল মিয়া ও আব্দুল মতিনসহ আরও অনেকে জানান, এবারে বন্যা হওয়ায় জমিতে পলি পড়ে স্তর সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারে অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামুলক কম হয়েছে, তারপরেও এবার ফলন মোটামুটি ভালো। বর্তমান বাজারে আলুর দাম বেশ ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। এরপরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে আলুর ফসল উত্তোলনের পর আবার তারা ভুট্টা লাগাবেন। এবারে তিস্তার চরাঞ্চলে বন্যা হওয়ায় জমিগুলোতে পলির স্তর পড়েছে। সে কারণেই আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবারে উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৩০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৬০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ