ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

উপজেলা নির্বাচন: সংকটে আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীরা  

প্রকাশনার সময়: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪২ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৪

উভয় সংকটে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীরা। একদিকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয়ার জন্য উৎসাহ, অন্যদিকে দলপ্রধান শেখ হাসিনার নিষেধাজ্ঞা; দুই মিলে এখন বড্ড বেকায়দায় পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের উপর ভরসা করে যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হবার প্রত্যাশায় ছিলেন, তারা এখন আতঙ্কে আছেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশের কারণে তাদের পরিকল্পনা অনেকটাই ভেস্তে গেছে। ফলে ক্ষমতার প্রভাব কাজে লাগিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে যারা আখের গোছানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলেন, তাদের অনেকে এখন হয় পিছিয়ে যাচ্ছেন, নতুবা তৃণমূল নেতৃত্বকে কাজে লাগিয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছেন।

তবে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার এ নির্দেশ দলটির তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তৃণমূল নেতারা এতদিন সংসদ সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা বিনষ্টের অভিযোগ করছিলেন। এই অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটি আলোচনায় এসেছে সেটি হলো- দলের সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীরা দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের স্বজন-আত্মীয় বা পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে বলয় তৈরি করেছেন। তবে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে এবার কেন্দ্রের এমন নির্দেশনা দলটির তৃণমূলে নতুন প্রাণশক্তি ছড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে দলের কোনো এমপি বা সরকারের কোনো মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করছেন কি-না সেটি মনিটরিং করা হচ্ছে খুব নিবিড়ভাবে। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের সাংগঠনিক সম্পাদকরা বিষয়টি মনিটরিং করছেন। তারা কোনো ব্যত্যয় পেলে রিপোর্ট তৈরি করে দলীয় সভাপতির কাছে উপস্থাপন করবেন। নির্দেশ অমান্য করার মতো কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট এমপি বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানা গেছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন ও আত্মীয়দের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার যে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দিয়েছেন; তা অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। এর ফলে তৃণমূল গতিশীল হবে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য আসবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যখন দেখবে, এমপি বা মন্ত্রী হবার কারণে সাংগঠনিকভাবে কোনো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন না কেউ, তখন তারা দলের প্রতি আরও বেশি নিবেদিত হবে।’

আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও জানান, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি-না মনিটরিং করা হচ্ছে। যারা নির্দেশ অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ