ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো পশু আমদানি করার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন- পশু যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে এবং উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি’তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করে করতে পারে সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দামটা যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

মন্ত্রী বলেন- আমাদের গবাদি পশু যেমন, প্রাণিসম্পদের মধ্যে গরু-ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেরিনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সে ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা এরই মধ্যে তো নিয়েছি। যেমন আমাদের একটা বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে, সেখানে আমরা ৬০ টাকা আমাদের পক্ষ থেকে দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগটি দিচ্ছি। সুতরাং নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নয়াশতাব্দী/টিএ