অধ্যাপক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকরা ওই প্রশ্নে জানতে চান, সোমবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অজ্ঞাতপরিচয়ে ২০ জনের একটি দল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখল করতে যায়। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী একপেশে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো প্রতিষ্ঠানে তাদের চোখ পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এ নিয়ে সারা বিশ্ব থেকে যে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রও তার সঙ্গে আছে। বাংলাদেশের শ্রম আইন ব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম আইন এবং দুর্নীতি বিরোধী আইনের অপব্যবহারের ফলে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ রোধ করতে পারে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার ও আপিলে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ