ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে ‘গড়িমসি’

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩২

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কল্যাণে আরও কিছু সুযোগ সুবিধার আধুনিকায়ন করে অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এরপর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে সেটিকে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি মহল সাবেক রাষ্ট্রপতির দেয়া এ অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন না করে যেন উপেক্ষা করছে। শুরু করেছে নানা গড়িমসি ও টালবাহানা। নিচ্ছে কূটকৌশলের আশ্রয়ও। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য সকল স্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনকল্পে রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কল্যাণ প্রবিধান ১৯৮৪ রহিত ও পরিমার্জনপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয়। এতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল মওকুফ সুবিধাসহ আরও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধার নির্দেশনা দিয়েছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। হয়েছে গেজেট প্রকাশ আর নির্দেশনা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেয়া হয়েছে চিঠিও। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব খাজা মিয়ার স্বাক্ষরিত ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা প্রকাশের পূর্বে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যার স্মারক নম্বর- ৪৮.০০.০০০০.০০১.৪৪.০০৯.২১-১০৯৩।

রাষ্ট্রপতি সকল স্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনকল্পে উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন সংস্থায় ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল এটিকে যেন বিতর্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার গেজেট প্রকাশিত হলেও যেন অদৃশ্য কোনো কারণে উপেক্ষা বা গাফিলতি করছে একটি চক্র। আর মুক্তিযোদ্ধারা এসব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংস্থাগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রকাশিত গেজেটের উদ্ধৃতি দিয়ে কল্যাণ প্রবিধান ২০২২ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দিলেও সংস্থাগুলোর একটি চক্র এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে এবং নানা খোড়া অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গেজেটের ৫ নম্বর ক্রমিকে কল্যাণ কার্যক্রমের আওতায় দেয়া সুযোগ সুবিধার ২২টি দফার মাত্র ১৬ নম্বর দফাটি অর্থাৎ বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। মওকুফের আবেদন করলেও কিছু কিছু সংস্থা হয়রানিমূলক মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি) বিদ্যুৎ বিল মওকুফ চেয়ে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার জানায়, ‘২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিপিডিসিতে আবেদন করলেও আজও পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা করেনি সংস্থাটি। তাছাড়া অন্যান্য বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যকরী তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

অপরদিকে, তিতাস গ্যাস মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সাবেক রাষ্ট্রপতির দেয়া নির্দেশনা এরইমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। আবার গত জানুয়ারি মাস থেকে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল সুবিধাও সাবেক রাষ্ট্রপতির দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বরাবর বিদ্যুৎ বিলের মওকুফ সুবিধা ও অর্থের জোগানের বিষয় স্পষ্টীকরণে একটি চিঠি দেয় ডিপিডিসি। যার স্মারক নম্বর: ২৭.৮৭.০০০০.২৩৭.৯৯.০০৬.২১.৯। চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক বাড়ি/ফ্ল্যাট এবং মিটার থাকলে অথবা পরিবারের অন্য সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন মিটার ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে বিল মওকুফ সুবিধা প্রাপ্যতা এবং পুনঃভরণ অর্থের জোগানের উৎসের স্পষ্টীকরণসহ আরও কিছু বিষয় জানতে চায় ডিপিডিসি।

তবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রপতির জারিকৃত অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন না করে ডিপিডিসি বিভিন্ন বিষয় স্পষ্টীকরণের নামে চিঠি চালাচালি শুধুমাত্র কালক্ষেপণ করছে। তারা (ডিপিডিসি) যে সব মুক্তযোদ্ধাগণ ভাড়া বাসায় থাকেন তাদের এসব সুযোগ সুবিধা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা কিন্তু উল্লেখ করেন নাই। কীভাবে সুবিধা না দিয়ে পারা যায় সেই কৌশল অবলম্বন করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে এহেন কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে আজও বহাল তবিয়তে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি। এ ছাড়া এ চক্রটিই মুক্তিযোদ্ধাদের ‘কল্যাণ প্রবিধান ২০২২’ বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।’

জানা গেছে, সরকার তথা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতা (যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার) ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট কল্যাণ প্রবিধান ১৯৮৪ রহিত ও পরিমার্জনপূর্বক যুগোপযোগী করিয়া কল্যাণ প্রবিধান ২০২২ নতুনভাবে প্রণয়ন করে গেজেট আকারে প্রকাশ করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতাপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ০২ বার্নার গ্যাস বিল মওকুফ সুবিধা, নিজস্ব পুরো বাড়ির বিদ্যুৎ বিল মওকুফ সুবিধা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিজস্ব পুরো বাড়ির পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল মওকুফ সুবিধা, নিজস্ব পুরো বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা, চিকিৎসা খরচ (দেশে-বিদেশে), বিবাহ ভাতা (অনধিক দুই কন্যা/পুত্র), শিক্ষা ভাতা (অনধিক দুই সন্তান) সহ অন্যান্য আরও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের জন্য এ-সংক্রান্ত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) সহ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে একটি চিঠি দেয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জারি হওয়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধান-২০২২ বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রবিধানে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মৃত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধান-২০২২ অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল মওকুফ সুবিধা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিতরণ কোম্পানির প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধান-২০২২ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির কাউসার আলী বলেন, ‘যেহেতু এটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ তাই এটিকে পজিটিভলি রান করব। আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এটি নিয়ে যোগাযোগ করছি কীভাবে এটিকে সফল করব। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে আমাদের কাছে আবেদন এসেছে বলেও জানান তিনি।’ সরকারের নির্দেশনা পেয়েছি খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে কিভাবে করা যায় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

আবার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহাবুবুর রহমানের গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল মওকুফ সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। যার ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৮০ ভাগ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল মওকুফ সুবিধা প্রদান শুরু করেছে ঢাকা ওয়াসা।

তাছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের জন্য গ্যাস বিল মওকুফ সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লি. সহ গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রধান বরাবর একটি চিঠিতে গ্যাস বিল মওকুফ সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। যার কারণে তিতাস গ্যাস এরইমধ্যে সরকারি আদেশ মোতাবেক গ্যাস বিল মওকুফ সুবিধা প্রদান বাস্তবায়ন করেছে।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কল্যাণ প্রবিধান ২০২২ ডিপিডিসি, ডেসকো সহ বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানিগুলো এখনো বাস্তবায়ন করেনি। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির প্রায় এক বছর দুই মাস অতিবাহিত হলেও মানছে না বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানিগুলো।

রাষ্ট্রপতির জারিকৃত অধ্যাদেশ অনুযায়ী সুযোগ সুবিধার প্রার্থনায় বিভিন্ন সংস্থায় আবেদনকারী মিজানুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিল মওকুফের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু নানা অজুহাতে কিছু কিছু সংস্থা আজও বাস্তবায়ন করছে না। বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রপতির নির্দেশনাও মানছে না।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুবিধা দিয়ে গত ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর বিদ্যুৎ বিল মওকুফের এখনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানিগুলো। মুক্তিযোদ্ধারা আবেদন করার পরও দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ইতোমধ্যেই ‘কল্যাণ প্রবিধান ২০২২’ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে বাস্তবায়নের জন্য চিঠি দিয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির প্রায় এক বছর দুই মাস অতিবাহিত হলেও তা বাস্তবায়ন না করে সংস্থাগুলোর কাছে এক প্রকার উপেক্ষিত।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিল মওকুফের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সেই দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিল মওকুফ করার নির্দেশ দেয়।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ