ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিলেন জাকির তালুকদার

প্রকাশনার সময়: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৭

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন কথাশিল্পী জাকির তালুকদার। ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছিলেন রোববার (২৮ জানুয়ারি) তিনি ওই পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলা একাডেমিতে ফেরত পাঠিয়েছেন।

বাংলা একাডেমি তার মান ধরে রাখতে পারেনি অভিযোগ এই কথাসাহিত্যিকের।

জাকির তালুকদার বলেন, ‘বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না করে ইচ্ছেমতো একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কমে গেলে পুরস্কারের গুরুত্ব থাকে না। এ জন্য এই পুরস্কার এখন আমার কাছে অর্থহীন বোঝা বলে মনে হচ্ছে। বাংলা একাডেমি নিজের মান ধরে রাখতে পারেনি, এটা দুঃখজনক।’

জাকির তালুকদার জানান, সবকিছু ফেরত পাঠানোর সঙ্গে একটি চিঠিও তিনি দিয়েছেন। যেখানে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কারণ উল্লেখ আছে।

জাকির তালুকদারের পুরস্কার ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘আমার কাছে এখনো (পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক) এসে পৌঁছায়নি। এতদিন পর পুরস্কার ফেরত দেওয়া যায় কি না, আমি ঠিক জানি না।’

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে নানারকম সমালোচনা তৈরি হয়। অভিযোগ আছে নানারকম সম্পর্কের ভিত্তিতে একাডেমি পুরস্কার দিয়ে থাকে। গত ২৪ জানুয়ারি (বুধবার) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। এবারও পুরস্কারপ্রাপ্তদের কয়েকজনকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিক এই সময়ে জাকির তালুকদারের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দেওয়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জাকির তালুকদার ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।

কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ