লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হেরে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে আজ সফরকারীদের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৮ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারে মাথিশা পাথিরানার বলে অন্যঞ্জেলো মাথিউসের মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরেন সৌম্য। ২২ বলে ৫ চারে তিনি করেন ২৬ রান।

সৌম্য ফেরার পর আরেক ওপেনার লিটনও ফিরেছেন দলীয় ৮৩ রানেই। ২৪ বলে ৩৬ রান করে পাথিরানার দ্বিতীয় শিকার হয়ে হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়।

তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৮৭ রান করেছেন শান্ত-হৃদয়। এ দুজনের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে ভিড়ে টাইগাররা। দলকে জেতানোর পথে ৪ চার আর ২ছয়ে ৩৮ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক শান্ত। আর হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩২ রান করে।

এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসারের প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শরিফুলের তুলে দেয়া সুরই দ্বিতীয় ওভারে ধরে রাখেন তাসকিন। এরই ধারাবাহিকতায় ইনিংসে নিজের করা চতুর্থ বলেই সাফল্যের দেখা পান তিনি।

টাইগার স্পিডস্টারের চতুর্থ বল ভাসিয়ে মারেন লঙ্কান ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো। তবে তাসকিনের হাতেই ক্যাচে পরিণত হন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। এ দুজন মিলে করেন ৫২ রান।

তাসকিনের করা দ্বিতীয় এবং ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই ১৭ রান নেন দুই লঙ্কান ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেছেন ৪২ বলে ৬৬ রান। তবে নবম ওভারে ব্রেক্তহ্রু এনে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। তার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন কুশল মেন্ডিস। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ৩ ছয় আর ২ চারে ৩৬ রান করেছেন তিনি।

কুশল মেন্ডিস ফেরার পরের ওভারেই দৌড়ে রান নিতে গিয়ে শেখ মাহেদীর করা থ্রোতে আউট হন কামিন্দু। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩৭ রান করেছেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন সাদুরা সামারাবিক্রমা। ১১ বলে ৭ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানে বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনিও।

এদিকে সামারাবিক্রমা ফেরার পর অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাও ফিরেছেন দ্রুতই। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩ ছয় এবং ১ চারে ১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলীয় ১১২ রানে লঙ্কান অধিনায়ক ফেরার পর হাল ধরেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং দাসুন শানাকা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুজন করেছেন ৩৭ বলে ৫৩ রান। এ দুজনের জুটিতেই ২০ ওভারে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। টাইগারদের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মুস্তাফিজ, মেহেদী এবং সৌম্য।

নয়াশতাব্দী/একে