ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬

ভারত-অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষে বাংলাদেশ!

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১০

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে মূলত বিবেচনা করা হয় তরুণ ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করার উপযুক্ত সুযোগ হিসেবে। যুব পর্যায়ের এই বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করা ক্রিকেটাররাই ভবিষ্যতে দাপট দেখায় জাতীয় দলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটা আরও বেশি প্রযোজ্য।

২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপ খেলা সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল কিংবা মুশফিকুর রহিম এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল শক্তি। অন্যদিকে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জেতা তৌহিদ হৃদয়, শরীফুল ইসলাম কিংবা তানজিদ তামিমদের ভাবা হচ্ছে ভবিষ্যৎ তারকা।

ফলে যুব বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে আসা তারকাদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশই সবার চেয়ে এগিয়ে। আইসিসির নিজস্ব পরিসংখ্যান থেকেই বেরিয়ে এসেছে এমন চিত্র।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপ খেলা ৪১ শতাংশ খেলোয়াড়। এ তালিকায় আফগানিস্তান রয়েছে দ্বিতীয়তে। যুব বিশ্বকাপ খেলা ৩৮ শতাংশ তারকা খেলছেন তাদের হয়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই হার আরও বেড়েছে। এমনকি একাধিক ক্রিকেটারের নিকটাত্মীয় খেলেছেন সদ্য সমাপ্ত যুব বিশ্বকাপে। দেশটির পাইপলাইনে থাকা প্রায় সব ক্রিকেটারই যুব ক্রিকেটের অংশ।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। যুব বিশ্বকাপ খেলা ৩৬ শতাংশ তারকা ক্রিকেটার পরবর্তীতে অভিষেক করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির হয়ে। যে তালিকায় আছেন ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ান থেকে শুরু করে শিমরন হেটমায়ারের মতো তারকারাও।

অন্যদিকে যুব বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন জিম্বাবুয়ের ৩৪ শতাংশ তারকা।

এরপরে আছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার নাম। এই দুই দেশের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে ৩৩ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ তারকার।

নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩২ শতাংশ। বছরখানেক আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ মিলেছে ৩১ শতাংশ তারকার।

ইংল্যান্ড এবং ভারতের হয়ে যথাক্রমে ২৮ ও ২৭ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ খেলা তারকা পরবর্তীতে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং কিংবা মোহাম্মদ কাইফের মত অনেকেই জাতীয় দলে আলো ছড়িয়েছেন। আবার উন্মুক্ত চাঁদের মতো অনেকেই ঝরে গেছেন।

তবে, যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে অভিষেকের তালিকায় সবার নিচে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ২০ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মোটে ১৮ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ তারকা পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ